চলতি মৌসুমে সিরাজগঞ্জে সবজির বাম্পার ফলন হয়েছে। সবজি চাষ করে জেলার অনেক চাষির জীবনে এসেছে স্বচ্ছলতা।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, জেলার নয়টি উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছিল ৪ হাজার ২৬৫ হেক্টর জমিতে। এ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে বিশেষ করে ক্ষুদ্র ও প্রান্তিক কৃষকেরা এ চাষাবাদ বেশি করেছে। তবে জেলার চরাঞ্চলসহ উল্লাপাড়া, রায়গঞ্জ ও সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সবজি চাষাবাদ বেশি হয়েছে।
সিরাজগঞ্জে চাষ করা সবজির মধ্যে রয়েছে বারোমাসি হাইব্রিড বেগুন, ঢেড়শ, পুঁইশাক, পটল, কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, সিম, মুলা, বাঁধাকপি, ফুলকপি, টমেটো, গাঁজরসহ নানা ধরনের শাক-সবজি।
সবজি চাষাবাদে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার রাজাপুর গ্রামের আদর্শ কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক (৩৪) ও তার স্ত্রী রিমি (২৫) বাড়ির আঙ্গিনায় ৫০ শতক জমিতে সবজি চাষাবাদ করেছেন। এসব সবজির মধ্যে রয়েছে কুমড়া, পুঁইশাক, ঝিঙ্গা ও বেগুন। তাদের ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩০ হাজার টাকা। আর এসব সবজি এ পর্যন্ত বিক্রি করেছে প্রায় দেড় লাখ টাকা এবং সবজি বাগান থেকে আরও ২/৩ মাস সবজি বিক্রি করা যাবে। সবজি চাষাবাদে স্বচ্ছলতা ফিরে আসায় এ দম্পত্তির মুখে হাসি ফুটেছে।
কৃষক আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, ‘সবজি চাষে পরিবারের সবাই এখন ভালো আছি এবং আমাদের স্বচ্ছলতাও ফিরে এসেছে। গ্রামের অনেকেই এসব বারোমাসি সবজি চাষাবাদে ঝুঁকে পড়েছে। বিশেষ করে প্রান্তিক ও ক্ষুদ্র চাষিরা এসব লাভজনক সবজি চাষাবাদ বেশি করছে।’
বর্তমানে হাট-বাজারে বেগুন ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকা, পটল ৪০ থেকে ৫০ টাকা, ঢেড়শ ৪০ থেকে ৫০ টাকা, টমেটো ৮০ টাকা থেকে ১০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে এবং অনান্য সবজিও বিক্রিতে ভালো দাম পাওয়া যাচ্ছে। এ ছাড়া পাইকারি ব্যবসায়ীরা স্থানীয় হাট-বাজার থেকে ক্রয় করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক আ. জা. মু. আহসান শহীদ সরকার বলেন, এবার শীতকালীন বারোমাসি বিভিন্ন সবজি চাষে বাম্পার ফলন হয়েছে। এ চাষাবাদে ক্ষুদ্র ও প্রন্তিক কৃষকদের মাঝে বীজ বিতরণ করা হয়েছে। বাজার ভালো থাকায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এ চাষাবাদে কৃষকদের সহযোগিতা ও পরামর্শ অব্যাহত থাকবে বলেও জানান এ কৃষি কর্মকর্তা।


