এক ক্ষেতে একসঙ্গে চাষ করা হয়েছে বেগুন, করলা ও শসা। মূলত বেগুন গাছের ওপর চাষ করা হয়েছে করলা ও শসা। যশোরের মণিরামপুরের দেলোয়াবাটি, হুরগাতি, কর্ন্দপপুর, জয়পুরসহ সাত গ্রামের কৃষক প্রায় ২০০ বিঘা জমিতে হচ্ছে এমন চাষাবাদ। একই ক্ষেতে একসঙ্গে তিন প্রকারের সবজি চাষ করে অধিক মুনাফার মুখ দেখছেন কৃষকরা।
উপজেলার দেলোবাটি গ্রামে গেলে এই চিত্র চোখে পড়ে। ক্ষেত থেকে তুলে আনা শসা গ্রামের সড়কের পাশে রেখে ট্রাক বোঝাই করা হচ্ছিল।
ব্যবসায়ী কওছার আলী বলেন, প্রতিদিন ট্রাকে সরাসরি কৃষকদের কাছ থেকে শসা, বেগুন ও করলা কিনে ঢাকা ও খুলনার মোকামে নিয়ে যান তিনি। তার মতো আরও পাইকার প্রতিদিন ৭-৮টি ট্রাক ও করিমন-আলমসাধুযোগে বড় মোকামে নিয়ে যাচ্ছেন।
আলমগীর হোসেন, রিয়াজ হোসেন, মাহফুজুর রহমানসহ একাধিক কৃষক জানান, বছর তিনেক আগে এলাকার শরিফুল ইসলাম টুকু নামের একজন প্রথমে এ ধরনের প্রযুক্তি ব্যবহার করেন। তিনি সফল হলে, তার দেখাদেখি তারা এভাবে একই ক্ষেতে তিন ধরনের সবজি চাষ করে লাভবান হচ্ছেন। বছরে কেবল আমন মৌসুমে ধান হয়। বাকি সময় তারা এই সবজি চাষ করেন।
তারা আরও জানান, আমন ধান ঘরে তোলার পর ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে বেগুন চাষ করেন। গাছে পুরো বেগুনের ফলন শুরু হলে গোড়ায় বোপণ করা হয় শসা এবং করলার বীজ। বেগুনের ফলন শেষ হতেই শসা ও করলার ফলন শুরু হয়। তখন বেগুন গাছই শসা ও করলার মাচানের কাজ করে। বেগুন ক্ষেতে দেওয়া রাসায়নিক সার শসা ও করলা ক্ষেতের উর্বর করতে কাজ করায় আলাদা করে রাসায়নিক সার দিতে হয় না। এভাবে প্রতি বিঘা জমি হতে তিন ধরনের সবজি বিক্রি করে প্রায় ৫ লাখ টাকার বেশি মুনাফা করছেন তারা।
মনিরামপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহমুদা আক্তার বলেন, এক জমিতে একই সঙ্গে তিন ফসল আধুনিক চাষাবাদ পদ্ধতি। এ বিষয়ে উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা ও কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি তাদের চাষাবাদে সবসময় খোঁজ-খবর নেওয়া হচ্ছে। ওই এলাকার সবজি চাষিরা লাভবান হবেন।


