বাগেরহাটের ফকিরহাটে গলদা চিংড়ির প্রধান খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা হচ্ছে শামুক। শামুক ব্যবহারে গলদা চিংড়ির খাবারের খরচ কম হওয়ায় ঘের মালিকরা শামুক ব্যবহারের দিকে ঝুঁকছেন।
প্রতিদিন সূর্য ওঠার আগে আগেই বাগেরহাটের ফকিরহাটের ফলতিতা বাজারে তাই জমে ওঠে শামুকের বেচাকেনা। ফরিদপুর, মাদারীপুর, গোপালগঞ্জ, সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে ট্রাক যোগে হাজার হাজার বস্তা শামুক এনে বিক্রি করেন ব্যবসায়ীরা। প্রতি বছরের জুন মাস থেকে ৬ মাস পর্যন্ত প্রতিদিন চলে শামুক বেচাকেনা। প্রতি বস্তা শামুক বিক্রি করে ৬০-৭০ টাকায় । আর এই পেশায় প্রায় তিন শতাধিক নারী-পুরুষের সংসার চলে শামুকের খোলস ছাড়িয়ে।
চিংড়ির জন্য ভালো মানের খাবার না পাওয়ায় শামুকের ওপর ভরসা করতে হয় চাষিদের।এই পেশায় নিয়োজিত কর্মচারীরা বিভিন্ন জেলা থেকে আসা শামুকের খোলস ছাড়িয়ে নরম অংশ বের করেন। এই নরম অংশ মাছের ঘেরে খবার হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
ফকিরহাট উপজেলা জ্যেষ্ঠ মৎস কর্মকর্তা অভিজিৎ শীল বলেন, ‘শামুক পানির ফিল্টার করে থাকে। এটি পানিতে থাকা জীবাণু খেয়ে ফেলে। শামুকের নরম অংশ মাছের বৃদ্ধিতে কোনো কাজে আসে না বরং তা মানবদেহের জন্য ক্ষতিকর। ঘেরে শামুক ব্যবহার যাতে কেউ না করেন সে জন্য আমরা তদারকি করে আসছি।’ জীব-বৈচিত্র রক্ষায় সবাইকে শামুক নিধন থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানান এ মৎস্য কর্মকর্তা।


