নড়াইলে চলতি খরিপ-২ মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। রোপা আমন ধানের ফলন ভালো হওয়ায় হাসি ফুটেছে জেলার কৃষকদের মুখে।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) র্পযন্ত শতকরা প্রায় ৯০ভাগ জমির পাকা আমন ধান কাটা সম্পন্ন হয়েছে বলে কৃষি র্কমর্কতারা জানিয়েছেন। জেলায় চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে রোপা আমন ধানের আবাদ হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও হয়েছে ভালো।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি মৌসুমে জেলার ৩ উপজেলায় রোপা আমন ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল ৪৩ হাজার ৪৫০ হেক্টর জমিতে। সরকারি প্রণোদনা ও কৃষকদের উচ্চফলনশীল জাতের বীজ দেওয়ায় ৪৩ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে আমনের আবাদ হয়েছে।
আবাদ করা রোপা আমনের মধ্যে সদর উপজলোয় ২০,১৪০ হেক্টের জমিতে, লোহাগড়া উপজেলায় ১১ হাজার ২৬০ হেক্টের জমিতে এবং কালিয়া উপজেলায় ১২ হাজার ৫৫ হেক্টর জমিতে ধানের আবাদ করা হয়েছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসের উপসহকারী কৃষি র্কমর্কতা নিপু মজুমদার জানান,চলতি মৌসুমে উফশী বারি ধান-৭৫, ৮৭, বিনা ধান-৭, ১৭ জাতসহ বিভিন্ন জাতের, হাইব্রিড জাতের ধান গোল্ড, এ টু জেড-৭০০৬ জাতসহ অন্যান্য জাতের এবং স্থানীয় জাবড়া, কালোজিরা, চিনিগুড়া,দিঘা, ক্ষীরকনসহ বিভিন্ন জাতের আমন ধানের আবাদ হয়েছে।
লোহাগড়া উপজেলার আমাদা গ্রামের কৃষক আজমল হোসেন জানান, চলতি মৌসুমে প্রায় ২ একর জমিতে রোপা আমন ধান আবাদ করেছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ফলনও ভালো হয়েছে। নতুন ধান বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯৫০ থেকে ১০০০ টাকা মণ দরে। দাম ভালো পাওয়ায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ আরিফুর রহমান জানান, সরকার থেকে চলতি মৌসুমে কৃষকদরে মধ্যে প্রণোদনার উচ্চ ফলনশীল জাতের বীজ সরবরাহ করা হয়েছে।মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের নিয়মিত পরামর্শ, আধুনিক পদ্ধতিতে ধান চাষে প্রশক্ষিণসহ প্রযুক্তি ব্যবহারে উৎসাহ, রোগবালাই নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা এবং বীজ ব্যবস্থাপনায় পরিবর্তন আনার ফলে এবার বাম্পার ফলনের সম্ভব হয়েছে। সামগ্রীকভাবে, জেলায় আমন ধানের ভালো ফলন কৃষিতে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করছে।আমন ধানে কৃষকের গোলা ভরার সঙ্গে সঙ্গে জেলায় ফিরে এসেছে সোনালি স্বপ্ন, অর্থনীতিতে প্রাণচাঞ্চল্য, আর কৃষকের মুখে সন্তুষ্টির হাসি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে প্রায় ৯০ভাগ জমির ধান কাটা হয়ে গেছে। ডিসেম্বর মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে সম্পূর্ণ ধান কাটা শেষ হয়ে যাবে।


