ন্যায্য দাম না পাওয়ায় সরকারের পক্ষ থেকে আলুচাষিদের প্রণোদনা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানালেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা জানান।
পেঁয়াজের দাম নিয়ে করা এক প্রশ্নের জবাবে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার পেঁয়াজের দাম হঠাৎ বাজারে একটুখানি বেড়ে গেছে। কিন্তু আপনারা জানেন যে আমরা পেঁয়াজের জন্য কিন্তু অনেকগুলো হাইফ্লো মেশিন দিয়েছি। এজন্য এবার পেঁয়াজ আমদানি ওরকম করতে হয়নি। মনে হয় আমদানি করতেও হবে না। তবে আমদানি করার জন্য দুই হাজারের ওপরে অ্যাপ্লিকেশন (আবেদন) করছে লোকজন। আমদানিটা করলে কৃষকরা একটা বড় ধরনের সাফার করবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পেঁয়াজের কোনো ঘাটতি হবে না। কিছু দুষ্কৃতিকারী দামটা বাড়ানোর চেষ্টা করছে, কিন্তু তারা সফল হবে না। আমরা সবাই যদি চেষ্টা করি তারা এই দুর্নীতি করতে সফল হবে না। আমাদের আমদানি করার ওরকম ইচ্ছে নেই। আমাদের হয়তো আমদানির অনুমতি দিতে হবে না। কিন্তু আমাদের যে প্রোডাকশন (উৎপাদন) হয়েছে, কৃষকরা যে উৎপাদন করছে সেটা দিয়ে ভোক্তাদের চাহিদা মিটে যাবে।’
চালের বাজার দর নিয়ে কৃষি উপদেষ্টা বলেন, ‘এবার আমনের চাষ ও ফলন ভালো হয়েছে। আমরা একটি দাম নির্ধারণ করে দিয়েছি। আমনের প্রতি কেজি ৩৪ টাকা, ৩৯ টাকা, আতপ ও সিদ্ধ চাল ৫০ টাকা কেজি।’
তিনি বলেন, ‘সবজির উৎপাদনও খুবই ভালো। বাজারে সবজির যে দাম, সেটা যৌক্তিক। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে, এবার আলুচাষিরা বড় ধরনের মার খেয়েছেন। এবার তারা ভালো দাম পাননি। সে কারণে আলুচাষিদের প্রণোদনা দেওয়ার একটা ব্যবস্থা করা হবে।’
