Saturday, December 13, 2025
Advertisement
Home খবর ১৭১৪ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার

১৭১৪ কোটি টাকার সার কিনবে সরকার

চীন, মরক্কো ও সৌদি আরব থেকে ২ লাখ ১০ হাজার মেট্রিক টন সার আমদানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই সার আমদানি করতে সরকারের ১ হাজার ৭১৪ কোটি ৫১ লাখ ৯১ হাজার ৪৮০ টাকা খরচ হবে।

আজ মঙ্গলবার সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে কৃষি ও শিল্প মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে এই সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।

বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় চীনের ‘ব্যানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড’ থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমাদনির প্রস্তাব নিয়ে আসে কৃষি মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি প্রস্তাবটি পর্যালোচনা করে অনুমোদন দিয়েছে।

অন্যদিকে, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মাধ্যমে চীন থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নবায়িত চুক্তির মাধ্যমে ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। আগের চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান চুক্তির শর্তগুলো অভিন্ন রেখে গত ১০ জানুয়ারি পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা হয়।

সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে চীনের ব্যানিয়ান ইন্টারন্যাশনাল ট্রেডিং লিমিটেড থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ৩ কোটি ৯ লাখ মার্কিন ডলারে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩৭৮ কোটি ৮৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা। প্রতি টন ডিএপি সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৭৭২ দশমিক ৫০ ডলার।

সভায় কৃষি মন্ত্রণালয়ের আর এক প্রস্তাবের প্রেক্ষিতে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই সার আমদানির ব্যয় ধরা হয়েছে ২১৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪০ টাকা।

বিএডিসি মরক্কো থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে নবায়িত চুক্তির মাধ্যমে ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব সভায় নীতিগতভাবে অনুমোদিত হয়। আগে সম্পাদিত চুক্তির কার্যক্রম সম্পন্ন হওয়ায় বিদ্যমান চুক্তির শর্তগুলো অভিন্ন রেখে গত ২ জুলাই পুনরায় চুক্তি নবায়ন করা হয়।

সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৫৯ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলারে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশে মুদ্রায় এর পরিমাণ ২১৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪০ হাজার টাকা। প্রতি টন টিএসপি সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৮৫ দশমিক ৩৩ ডলার।

কৃষি মন্ত্রণালয়ের আরেক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৩০ হাজার টন টিএসপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে কমিটি। ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৪০ হাজার টন টিএসপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ১ কোটি ৭৫ লাখ ৫৯ হাজার ৯০০ মার্কিন ডলারে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ২১৫ কোটি ২৮ লাখ ৪৩ হাজার ৭৪০ টাকা। প্রতি টন টিএসপি সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৫৮৫ দশমিক ৩৩ ডলার।

মরক্কোর এই প্রতিষ্ঠান থেকে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় আরও ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির আরও একটি প্রস্তাব দেয় কৃষি মন্ত্রণালয়। উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি এই প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে।

ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ৩ কোটি ৪ লাখ ১৩ হাজার ২০০ মার্কিন ডলারে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩৭২ কোটি ৮৬ লাখ ৫৮ হাজার ৩২০ টাকা। প্রতি টন ডিএপি সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৭৬০ দশমিক ৩৩ ডলার।

বৈঠকে শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে সৌদি আরবের সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার আমদানির প্রস্তাব নিয়ে আসা হয়। এ প্রস্তাবটিও অনুমোদন দিয়েছে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটি।

কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির আর একটি প্রস্তাব আসে। এই প্রস্তাবটিও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। রাষ্ট্রীয় পর্যায়ের চুক্তির আওতায় মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে এই সার আমদানি করা হবে।

সার আমদানি চুক্তিতে উল্লিখিত মূল্য নির্ধারণ পদ্ধতি অনুসারে সারের মূল্য নির্ধারণ করে মরক্কোর ওসিপি নিউট্রিক্রপস থেকে ৪০ টন ডিএপি সার বর্তমান আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যে ৩ কোটি ৪ লাখ ১৩ হাজার ২০০ মার্কিন ডলারে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ৩৭২ কোটি ২৫ লাখ ৭৫ হাজার ৬৮০ টাকা। প্রতি টন ডিএপি সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৭৬০ দশমিক ৩৩ ডলার।

জানা গেছে, ২০২৫-২০২৬ অর্থবছরে সাবিক এগ্রি-নিউট্রিয়েন্টস কোম্পানি থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টনের ১১টি লটে ৩ লাখ ৩০ হাজার টন এবং আপদকালীন ও জরুরি পরিস্থিতি এবং দেশীয় কারখানায় সারের ঘাটতি মোকাবিলায় আরও ৩ লাখ টনসহ মোট ৬ লাখ ৩০ হাজার টন ইউরিয়া সার আমদানির চুক্তি করা হয়।

চুক্তি অনুযায়ী প্রতি টন ৪৩৫ ডলার হিসেবে দ্বিতীয় লটে ৩০ হাজার টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সার ১ কোটি ৩০ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলারে আমদানির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ ১৫৯ কোটি ৯৯ লাখ ৩০ হাজার টাকা। প্রতি টন বাল্ক গ্র্যানুলার ইউরিয়া সারের মূল্য ধরা হয়েছে ৪৩৫ ডলার।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বশেষ

কমলা চাষ করে সফল মাদারীপুরের রাসেল

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া মৃধাকান্দি এলাকায় কমলা চাষ করে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করেছেন তরুণ উদ্যোক্তা রাসেল হোসেন।দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে বাবার...

পুরোনা আলু সংরক্ষণ করার অনুরোধ কৃষি উপদেষ্টার

আলুচাষিদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরোনো আলু সংরক্ষণ করতে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনকে অনুরোধ জানিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো....

দেশে ব্রুসেলা জীবাণুর ভ্যাকসিন উদ্ভাবন

দেশে গবাদিপশুর অন্যতম পরিচিত রোগ হলো ব্রুসেলোসিস। ব্রু‌সেলা অ‌্যা‌বর্টাস (Brucella abortus) নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে এ রোগ হয়। এই জীবাণুতে গবাদিপশু আক্রান্ত হ‌লে...

ইউটিউব দেখে ‘কালো ধান’ চাষে সাফল্য

ব্ল‍্যাক রাইস বা কালো ধান। কেউ বলেন ‘প্রিন্স অফ রাইস’। এ ধানের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এ চাহিদা মেটাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার...