ভারত থেকে আমদানি পণ্যের ওপর শুল্ক বৃদ্ধির সিদ্ধান্ত নিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর জেরে চিংড়ির ওপর শুল্ক বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৫৮ দশমিক ২৬ শতাংশে। এমন সিদ্ধান্ত গ্রহণের জেরে ভারতের চিংড়ি রপ্তানি ধাক্কা খাবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা।চলতি অর্থবছরে ভারতের চিংড়ি রপ্তানির পরিমাণ ১৫ থেকে ১৮ শতাংশ কমতে পারে বলে শঙ্কা তাদের।
ক্রিসিল রেটিংসের এক প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনিক টাইমসের খবরে বলা হয়, রপ্তানিকারীরা যদি তাদের পণ্যের বিকল্প রপ্তানির গন্তব্যস্থল খুঁজতে চান, সেক্ষেত্রেও হ্রাস পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। গত চার অর্থবছরে একটি নির্দিষ্ট পরিসরে ঘোরাফেরা করেছে চিংড়ি রপ্তানি থেকে আয়। তবে চলতি অর্থবছরে হ্রাস পাওয়ার শঙ্কা রয়েছে। স্বভাবতই রপ্তানিকারীদের কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।
একটি সংবাদ সংস্থা সূত্রের বরাতে সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারত প্রায় পাঁচ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের চিংড়ি রপ্তানি করেছে। এর প্রায় ৪৮ শতাংশ চিংড়ি শুধুমাত্র মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি করা হয়েছিল। সংশ্লিষ্টদের মতে, আয়ের পরিমাণ হ্রাস অপারেটিং প্রফিট মার্জিনেও বড় ধাক্কা দিতে পারে। এর জেরে মুনাফার মার্জিন প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ বেসিস পয়েন্ট কমতে পারে। এটি সরাসরি চিংড়ি রপ্তানিকারীদের ওপর চাপ তৈরি করবে।
চিংড়ি রপ্তানিকারীদের একাংশের দীর্ঘদিন ধরে পছন্দের তালিকায় শীর্ষে ছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর মূল কারণগুলো হলো মার্কিন বাজারে উচ্চ বৃদ্ধির সম্ভাবনা, বিপুল মুনাফার মার্জিন এবং ওই বাজারের গ্রাহকদের অনুমোদন। ফলে এই বাজারকে বেছে নিয়েছিলেন চিংড়ি রপ্তানিকারীরা। কিন্তু সম্প্রতি মার্কিন রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের আমদানি শুল্ক বৃদ্ধি চিন্তায় ফেলেছে তাদের।
এ বিষয়ে ক্রিসিল রেটিংসের সিনিয়র ডিরেক্টর রাহুল গুহ বলেছেন, ‘প্রতিকূল পরিস্থিতি প্রক্রিয়াকরণকারীদের ওপর সরাসরি প্রভাব ফেলবে। এটি কৃষকদের চিংড়ি চাষের প্রবণতা হ্রাস করবে। বিনিয়োগকারীদের উৎসাহও চিংড়ি চাষের প্রতি কমবে। কৃষকদের জমি লিজ, এবং খাদ্যের জন্য অগ্রিম খরচ বহন করতে হবে। উপরন্তু বিদ্যুৎ এবং সামগ্রিকভাবে পুকুরের ব্যবস্থাপনা এবং বায়োসিকিউরিটির জন্য সরঞ্জামগুলোতে বিনিয়োগের জেরে উৎপাদন খরচ ইতোমধ্যে বৃদ্ধি পেয়েছে।’


