কৃষি সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেছেন, ‘দেশকে উন্নত করতে হলে কৃষিকে উন্নয়নের রানওয়ে মনে করতে হবে। সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দিয়ে কৃষিকে সঙ্গে নিয়েই এগিয়ে যেতে হবে। কৃষিকে বাদ দিয়ে অথবা কৃষককে অবহেলা করলে হবে না। কৃষিবান্ধব অর্থনীতি গড়ে তুলতে হবে। সকলে মিলে কাজ করলে ২০৫০ সাল নাগাদ কৃষি খাতকে সফলতা ও খাদ্য নিরাপত্তা এবং স্বয়ংসম্পূর্ণতা লাভ সম্ভব হবে।’
আজ শনিবার খুলনায় অনুষ্ঠিত ‘ট্রান্সফর্মিং বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচার : আউটলুক ২০৫০’ শীর্ষক আঞ্চলিক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। কৃষি মন্ত্রণালয় এ কর্মশালার আয়োজন করে।
মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, আগামীর কৃষি কি হওয়া উচিত, তার কর্মকৌশল বা গাইডলাইন তৈরির জন্যই এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কৃষি মন্ত্রণালয়ের ১৭টি ডিপার্টমেন্ট এবং সংশ্লিষ্ট আন্তঃমন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ের মাধ্যমেই আগামী ২০৫০ সালের কর্মপরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে। সেই গন্তব্য ঠিক রেখে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। বিশেষ করে ফুড সিকিউরিটি (খাদ্য নিরাপত্তা) নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য তৃণমূল পর্যায় থেকে নিজস্ব পরিকল্পনা তৈরি করা হচ্ছে।’
কৃষি সচিব বলেন, সকল বিভাগকে একই ছাতার মধ্যে আনা হচ্ছে। বিশেষ করে কোন প্রকল্প কতটুকু গ্রহণ করতে হবে, সেটি বিবেচনায় নিয়ে জেলা-উপজেলা ভিত্তিক সমস্যা ও সম্ভাবনা চিহ্নিত করে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে সারের কোন সংকট নেই। ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যাপ্ত সারের মজুদ রয়েছে।
কৃষিকে দেশের প্রাণ উল্লেখ করে কৃষি সচিব আরও বলেন, কৃষিকে ছোট করে দেখার কোন সুযোগ নেই। তবে কৃষিপণ্য রপ্তানি করা অনেকটাই চ্যালেঞ্জিং।
কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. মো. মাহমুদুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা বিভাগীয় কমিশনার মো. ফিরোজ সরকার। এতে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘের ফুড অ্যান্ড অ্যাগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের ন্যাশনাল প্রজেক্ট কো-অর্ডিনেটর ড. সুস্মিতা বণিক।
কর্মশালায় স্বাগত বক্তব্য দেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব কামরুল হাসান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ড. মো. মাহমুদুর রহমান।
কর্মশালায় কৃষি মন্ত্রণালয় এবং কৃষি বিভাগ, পানি উন্নয়ন বোর্ড, বিএডিসি, সার ডিলার, বীজ ডিলার, কৃষি যন্ত্রপাতি ব্যবসায়ী, সাংবাদিক ও শিক্ষক, সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিসহ খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলার কৃষকরা অংশগ্রহণ করেন।


