বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) প্রায় দেড় মাস ধরে কম্বাইন্ড (বিএসসি ইন ভেট ও এএইচ) ডিগ্রির আন্দোলন চলছে। এ আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় রেল অবরোধ, মশাল মিছিল, প্রশাসনিক ভবনে তালা, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন অডিটরিয়ামে শিক্ষকদের অবরুদ্ধকরণ, শিক্ষার্থীদের ওপর বহিরাগতদের হামলা ও ভাঙচুরসহ নানা ঘটনা ঘটেছে। তবে এর মধ্যে আন্দোলনে এসে শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রেমে পড়া নিয়ে গুঞ্জন বেশ আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) প্রেমে পড়া নিয়ে গুঞ্জনের বিষয়ে অনুসন্ধান করতে বিশ্ববিদ্যালয়ের নামের কয়েকটি ফেসবুক পেজে খোঁজ করা হয়।
ভেটেরিনারি অনুষদের ৬৪ ব্যাচের ছাত্র অনন্ত হাসানের উদ্দেশে একজন লেখেন,
‘জীবনে অনেক মানুষের সাথে পরিচয় হয়েছে, তবে তুমি সবার থেকে আলাদা। তোমার বন্ধুভাবাপন্ন, হাসিখুশি আচরণভঙ্গি আমাকে বিমোহিত করেছে। কি আশ্চর্য! একটা মানুষ কিভাবে অজান্তেই বিশেষ ব্যক্তি হয়ে ওঠে।’
কৃষি অনুষদের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র সম্রাট আল হাসানকে উদ্দেশে আরেকজন লেখেন,
‘মধ্য দুপুরে রিকশা নিয়ে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ মিছিলে তোমাকে দেখলাম। তোমাকে আমার মনের কথা অনেকবার বলতে চেয়েছি কিন্তু পারিনি। তুমি বাইরে থেকে রাগী মনে হলেও ভেতরে কোমল হৃদয়ের একজন মানুষ। আজ মনের কথা বলেই ফেললাম। আমি কিন্তু তোমার গ্রীন সিগন্যালের অপেক্ষায় আছি।’
ডিবিসির সাংবাদিক রাব্বিকে উদ্দেশে একজন লেখেন,
‘তোমার আইডি অনেকবার চেষ্টা করেও খুঁজে পেলাম না। যদি তুমি আমার প্রেম নিবেদন দেখে থাকো, উত্তর দিও। তোমাকে প্রথম দেখেছিলাম পশুপালন অনুষদের সামনে লাইভ করতে। তারপর দেখেছি প্রশাসনিক ভবনের সামনে। কয়েকদিনের পরিশ্রমে তোমাকে চেনা যাচ্ছে না। তোমার স্বাস্থ্যের যত্ন নিও।’
পশুপালন অনুষদের শিক্ষার্থী রিফাত বিন করিমের উদ্দেশে একজন লেখেন, ‘তোমার সৌন্দর্যে আমি প্রেমে পড়ে গেছি। তুমি আমার ভার্সিটির প্রথম প্রেম। যদি নিঃসঙ্গ থাকেন, তবে উত্তরে চিঠি দিও। আমার প্রথম অনুভূতিটিও মূল্যায়ন করবেন।’
ডিভিএম ৬৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাদিক সোলায়মান রাফির উদ্দেশে একজন লেখেন, ‘আমি তোমাকে সর্বদা চোখে চোখে রাখি। আমাকে অবহেলা করো কিনা জানি না। এই আন্দোলনে যাচ্ছি শুধুমাত্র তোমার জন্য। মশাল হাতে তোমাকে আরও অনেক সুন্দর লাগে। এই আন্দোলন হয়ে ভালোই হয়েছে, তোমাকে বারবার দেখতে পাচ্ছি। তুমি আমাকে খুঁজলেই আমার হৃদয়ে জায়গা পাবে। আমি চাই, আমার প্রথম ও শেষ গন্তব্য তুমি হও।’
তবে প্রেম নিবেদনের এসব বার্তা লেখক নারী না পুরুষ, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। অনেকের ধারণা, তাদের নিকটস্থ বন্ধুরাই বিনোদনের জন্য এসব প্রেম নিবেদন করছে।


