চলতি মৌসুমে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বিভিন্ন উপজেলায়, বিশেষত হাওরাঞ্চলে পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। এখন চলছে পাটকাটা, মাড়াই এবং শুকানোর কাজ।
এদিকে জেলার পাটচাষিরা এবার পাটের ভালো দাম পাওয়ার আশা করছেন। জেলা কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী চলতি মৌসুমে জেলায় অন্তত ৬০ কোটি টাকার পাট বিক্রি হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. মোস্তফা এমরান হোসেন বলেন, জেলায় এবার ৪ হাজার ৪৫৩ হেক্টর জমিতে পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল। এ ক্ষেত্রে জেলার সদর, নাসিরনগর, সরাইল, বিজয়নগর, নবীনগর এবং বাঞ্ছারামপুর উপজেলার ৪ হাজার ৪৫৫ হেক্টর জমিতে দেশি, কেনাফ, মেছতা এবং তোষা জাতের পাটের আবাদ করা হয়েছে, যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কিছুটা বেশি। এ বছর কেনাফ জাতের পাটের ফলন ভাল হয়েছে।
এদিকে, পাটচাষিদের অভিযোগ পাটের উৎপাদন খরচ বাড়লেও ন্যায্যমুল্য পাচ্ছেন না তারা। জেলার নাসিরনগরের পাটচাষি ছাদির মিয়া বলেন, সারের দাম বেশি, পাট চাষ করতেও এখন খরচ বেশি লাগে। সব খরচ দিয়ে বিক্রির দামে আমাদের পোষায় না। এখানে ব্যাপারীরা লাভবান হচ্ছেন। তারা স্টক রেখে উচ্চ দামে বিক্রি করেন।
পাটচাষি আলম মিয়া বলেন, ‘সরকার যদি আমাদের জন্য পাটের একটা নির্ধারিত দাম দিত, তাহলে আমরা সেই দামে বিক্রি করতে পারতাম।’
ব্রাহ্মণবাড়িয়ার জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ দিদারুল আলম বলেন, পাটের বাজার মনিটরিংয়ে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নজর রাখা হবে যাতে কৃষকেরা ন্যায্যমুল্য পান। এ বছর পাটের বিক্রয় মুল্য নিয়ে কৃষকদের কোনো সমস্যা হবে না বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।


