Saturday, December 13, 2025
Advertisement
Home খবর সারের কোনো সঙ্কট নেই: কৃষি সচিব

সারের কোনো সঙ্কট নেই: কৃষি সচিব

কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেছেন, ‘আমাদের সারের কোনো সঙ্কট নেই, একদমই নেই। আগামী ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত যে সারের প্রয়োজন সব সার আছে। এই মৌসুমে আমাদের সারের কোনো সঙ্কট নেই।’

বৃহস্পতিবার (২৮ আগস্ট) দুপুর ১২টার দিকে রাজশাহী গোদাগাড়ী উপজেলার সরমংলায় বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিএমডিএ) বাস্তবায়িত ‘বরেন্দ্র এলাকায় খালে পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে সেচ সম্প্রসারণ-২য় পর্যায়’ প্রকল্পের সেচ কার্যক্রম পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।

কৃষি সচিব বলেন, ‘সার নিয়ে আমাদের সচেতনতা লাগবে। মানুষের ব্যবহারের মধ্যে একটু সচেতনতার অভাব আছে। আমরা কৃষকদের বোঝানোর চেষ্টা করছি একটি জমিতে কী পরিমাণ সার আসলে প্রয়োজন। আমরা একটি খামারি অ্যাপ চালু করেছি। সে জমির কন্টেস্ট অনুযায়ী কৃষক কী ধরনের কতটুকু সার ব্যবহার করতে পারবে সেটি জানতে পারবে। অতিরিক্ত সার দেওয়া মানে জমির জন্য ক্ষতি এবং কৃষকের অর্থের অপচয়।’

সারের দামের প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘যে সারটা ২৭ টাকা বা ৩০ টাকা কেজিতে কৃষক পান, সেই সারের দাম কিন্তু ১০০ টাকা ১১০ টাকা কেজি। তার মানে এক কেজি সারের দাম প্রায় তিন গুণ। যে জমিতে সার লাগবে আট কেজি, কিন্তু সেখানে ব্যবহার করা হচ্ছে ২৭-২৮ কেজি। আমরা ব্যাপক আন্দোলন করছি সারের সঠিক ও প্রমিত ব্যবহারের জন্য।’

ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান বলেন, ‘বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সহায়তায় এখন কৃষির ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। আগে এখানে এক ফসল হলেও এখন মিনিমাম তিনটি ফসল হয়। এটা একটা বড় অর্জন। এক সময় বরেন্দ্র অঞ্চলের মানুষের খাদ্যের হাহাকার ছিল। মঙ্গা ছিল। এখন এখানকার মানুষের খাদ্য চাহিদা মিটিয়ে, সারাদেশ এমনকি অন্যান্য দেশেও আমরা মানুষকে খাদ্য দিয়ে থাকি। আমরা নির্ভর করি রাজশাহীসহ উত্তরবঙ্গের ফসলের ওপর। উত্তরবঙ্গের ফসল সারাদেশের মানুষকে খাদ্য দিয়ে বাঁচিয়ে রেখেছে।’

কৃষি সচিব
প্রকল্প পরিদর্শনে কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ড. মোহাম্মদ এমদাদ উল্লাহ মিয়ান

তিনি বলেন, ‘এক সময় দক্ষিণবঙ্গ ছিল খাদ্যের ভান্ডার, এখন উত্তরবঙ্গ হয়েছে খাদ্যের ভান্ডার। এটাকে আমরা আরও সমৃদ্ধ করতে চাই। কৃষি বিভাগ, কৃষি মন্ত্রণালয় তথা বরেন্দ্রসহ যত রকমের প্রকল্প রয়েছে কৃষি এক্সটেনশন ও সম্প্রসারণের জন্য নানা কার্যক্রম আমরা হাতে নিয়েছি। এই এলাকার মানুষের ভাগ্যের উন্নয়নসহ কৃষি আরও সমৃদ্ধ হবে। এ কৃষির মাধ্যমে আমরা খাদ্যের চাহিদা, নিরাপদ খাদ্য, পুষ্টির চাহিদা নিশ্চিত করব ইনশাআল্লাহ। সমস্যাগুলো আমরা দেখতে এসেছি, সমস্যাগুলোর আলোকে বাস্তবতার ভিত্তিতে আমরা প্রকল্প নেব। আশা করি এই এলাকার কৃষির যে সমস্যা আছে, সেগুলোর সমাধান করতে পারব।’

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের নির্বাহী পরিচালক মো. তারিকুল আলম (অতিরিক্তি সচিব), অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. শামসুল হোদা, প্রকল্প পরিচালক ও অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী ড. মো. আবুল কাসেম, প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী এটিএম মাহফুজুর রহমান, প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. নাজিরুল ইসলাম, প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শিবির আহমেদ, সচিব নীলুফা সরকার, প্রকল্প পরিচালক ও তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রেজা মোহাম্মদ নূরে আলম, নির্বাহী প্রকৌশলী সানজিদা খানম মলিসহ বরেন্দ্র বহুমুখী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।

LEAVE A REPLY

Please enter your comment!
Please enter your name here

- Advertisment -

সর্বশেষ

কমলা চাষ করে সফল মাদারীপুরের রাসেল

মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার দত্তপাড়া মৃধাকান্দি এলাকায় কমলা চাষ করে নতুন সম্ভাবনার দিগন্ত উন্মোচন করেছেন তরুণ উদ্যোক্তা রাসেল হোসেন।দীর্ঘ প্রবাস জীবন শেষে দেশে ফিরে বাবার...

পুরোনা আলু সংরক্ষণ করার অনুরোধ কৃষি উপদেষ্টার

আলুচাষিদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে ডিসেম্বর পর্যন্ত পুরোনো আলু সংরক্ষণ করতে বাংলাদেশ কোল্ড স্টোরেজ অ্যাসোসিয়েশনকে অনুরোধ জানিয়েছেন কৃষি ও স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো....

দেশে ব্রুসেলা জীবাণুর ভ্যাকসিন উদ্ভাবন

দেশে গবাদিপশুর অন্যতম পরিচিত রোগ হলো ব্রুসেলোসিস। ব্রু‌সেলা অ‌্যা‌বর্টাস (Brucella abortus) নামক এক ধরনের ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে এ রোগ হয়। এই জীবাণুতে গবাদিপশু আক্রান্ত হ‌লে...

ইউটিউব দেখে ‘কালো ধান’ চাষে সাফল্য

ব্ল‍্যাক রাইস বা কালো ধান। কেউ বলেন ‘প্রিন্স অফ রাইস’। এ ধানের প্রচুর চাহিদা রয়েছে। এ চাহিদা মেটাতে ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের উত্তরবঙ্গের কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার...