স্নাতক পাসের পর বিএড করেছেন। তবে ছোটবেলা থেকে ইচ্ছা গাছ লাগানো। তবে বর্তমানে পড়ার অবসরে নিজের এই শখকে পেশা বানিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিম মেদিনীপুরের দাঁতন থানার প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকা উঁচুডিহার সৌগত নন্দ (২৭)। নানা প্রজাতির ইনডোর প্লান্ট চাষ করে লাভবান হয়েছেন তিনি। শুধু তাই নয়, তার কদর ছড়িয়ে পড়েছে দেশ-বিদেশে। অনলাইন এবং অফলাইন মাধ্যমে ব্যবসা করছেন এ যুবক।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইট্টিনের খবরে বলা হয়, বাড়ির ছোট্ট জায়গায় একাধিক প্রজাতির গাছ লাগিয়ে তার থেকে ব্যবসা তৈরি করেছেন সৌগত। বিভিন্ন ধরনের ইনডোর প্ল্যান্ট নিজের বাড়িতে তৈরি করে বিক্রি করছেন তিনি।
পড়ার পাশাপাশি অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে এই গাছের ব্যবসা করে লাভের মুখ দেখেছেন সৌগত। ছোট থেকেই নেশা, তাই বছর ২০ ধরে সেই নেশাকে জিইয়ে রেখে ব্যবসায় পরিণত করেছেন এই যুবক। দেশ ও বিদেশের একাধিক প্রজাতির ইনডোর প্ল্যান্ট রয়েছে তার কাছে। অনলাইন মাধ্যমে অর্ডার নিয়ে কুরিয়ার সার্ভিসের মধ্য দিয়ে দেশের পাশাপাশি বিদেশেও রপ্তানি করছেন তিনি। আর এ থেকে মিলছে দারুণ লাভ।
বাড়ির বড়দের দেখে বাড়িতেই লাগাত ফুল ফলের গাছ। গাছ লাগানোর সেই নেশা ধীরে ধীরে পরিবর্তিত হচ্ছে পেশাতে। প্রান্তিক গ্রামীণ এলাকায় থেকেও রাজ্যের পাশাপাশি সারাদেশে অনলাইন এবং অফলাইন মাধ্যমে গাছ বিক্রি করে স্বনির্ভরতার দিশা দেখাচ্ছেন সৌগত। বাড়িতেই প্রায় ৫০০ প্রজাতির ইনডোর প্ল্যান্ট চাষ করে যুবদের দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা। পড়াশোনার পাশাপাশি তার নেশা থেকেই বাড়িতেই একাধিক প্রজাতির ইনডোর প্লান্ট চাষ করেছেন তিনি।

২০১৯ সালে সৌগত ভূগোলের স্নাতক পাস করেছেন। বাড়িতেই নিতান্তই শখের বসে শুরু করে গাছ লাগান। ছোট থেকেই নেশা থাকায় এক এক করে বাড়িতেই গাছের সংখ্যা বৃদ্ধি করে। ফুল, ফলের পাশাপাশি তার নেশা জাগে ইনডোর প্লান্ট লাগানোর। সেই মতো একাধিক প্রজাতি থেকে বর্তমানে তার কাছে প্রজাতির সংখ্যা প্রায় ৫০০ ছাড়িয়েছে।
ছোট থেকে নেশা থাকায় এক এক করে তিনি থাইল্যান্ড, ইকুইজেনেরিয়াসহ গ্রামীণ বিভিন্ন নার্সারি থেকে তিনি এক একটি গাছ সংগ্রহ করে লাগিয়েছেন। ধীরে ধীরে পরিচর্যায় বড় করে তুলেছেন ইনডোর প্লান্ট ফার্ম। বাড়িতে পড়াশোনার পরে চলে তার গাছ পরিচর্যার কাজ। তিনি যুব প্রজন্মকে দিচ্ছেন স্বনির্ভর হওয়ার বার্তা।
সৌগত জানিয়েছে, তার কাছে রয়েছে ফার্ন, অ্যাডেনিয়াম, হোয়া, অ্যানফরিয়াম, ক্যাকটাস প্রজাতি, অক্সালিস, অ্যালোকেসিয়া, মনস্টার অ্যালবো-সহ একাধিক প্রজাতির গাছ। দাম ৫০ থেকে ৫০০০ টাকা পর্যন্ত। বর্তমানে তিনি কাশ্মীর, আন্দামানসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় গাছ বিক্রি করেছেন।
সৌগতের স্বনির্ভর হওয়ার বিশেষ ভাবনা চিন্তাকে প্রশংসা করেছেন অনেকে। আগামীতে ইনডোর প্ল্যান্ট ব্যবসাকে বাড়াতে চান তিনি।


