শুধুমাত্র পেঁপে চাষ নয়, কোনোরকম প্রশিক্ষণ ছাড়াই নতুন জাত উদ্ভাবন করেছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলির চুঁচুড়া মগরা ব্লকের পেঁপেচাষি কৃষ্ণচন্দ্র হালদার। তার উদ্ভাবিত যা সাধারণ পেঁপের থেকে উচ্চফলনশীল। আর এ পেঁপে চাষ করে কয়েক লাখ রুপি আয় করেছেন তিনি। শুনতে অবাক লাগলে, ১ লাখ রুপি খরচ করে পেঁপে বিক্রি করেছেন ৫ লাখ রুপির। অর্থাৎ খরচের চার গুণ লাভ হচ্ছে তার। শুধু তাই নয়, আধুনিক পদ্ধতিতে পেঁপে চাষ করায় একাধিক পুরস্কারও পেয়েছেন এ চাষি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম নিউজ এইট্টিনের খবরে বলা হয়, চুঁচুড়া মগরা ব্লকের উত্তর শিমলা গ্রাম। ১৯৮৬ সাল থেকে তিনি পেঁপে চাষ করে আসছেন। প্রথমদিকে তিনি দেশীয় জাতের পেঁপে চাষ করতেন তিনি। পরবর্তীতে নিজেই ক্রস পলিনেশন পদ্ধতির মাধ্যমে পেঁপের নতুন প্রজাতি তৈরি করেন। তিনি যে পেঁপের জাত তৈরি করেন তার ওজন ৭০০ গ্রাম থেকে এক কেজির মধ্যে। এ পেঁপের ফলন সারা বছরব্যাপী হয়। নতুন এই ধরনের পেঁপে তিনি উৎপাদন করতে শুরু করেন এবং তা থেকেই তার ব্যাপক আকারের মুনাফা লাভ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে চাষি কৃষ্ণচন্দ্র হালদার বলেন, পেঁপে চাষের জন্য তিনি একাধিক পুরস্কার পেয়েছেন। তার এক বিঘা জমিতে পেঁপে চাষ করতে খরচ হয় প্রায় ১ লাখ রুপি। সে পেঁপে বিক্রি করে তার আয় হয় ৫ লক্ষ টাকা। ৪ লাখ রুপি থাকে তার মুনাফা।
তিনি বলেন, পুরো পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যব্যাপী তার পেঁপে রপ্তানি হয়। তার পেঁপের এতটাই চাহিদা রয়েছে শুধুমাত্র পাকা পেঁপে নয়, কাঁচা পেঁপেও বিক্রি হয়। পেঁপের আকৃতি মূলত তিনি এক কেজির মধ্যে রাখার চেষ্টা করেন, কারণ এর থেকে বড় পেঁপে হলে সেগুলোর দাম কমে যায়।
সফল চাষি কৃষ্ণচন্দ্র হালদার আরও বলেন, পেঁপে যদি ছোট আকৃতির হয় তাহলে তার দাম ভালো থাকে। সেই কারণেই ছোট আকৃতিতে কিন্তু সংখ্যায় বেশি এমন পেঁপে উৎপাদন করার জন্যই তিনি প্রচেষ্টা চালাচ্ছিলেন দীর্ঘদিন ধরে। অবশেষে দেশীয় পেঁপের সঙ্গে হাইব্রিড পেঁপের ক্রস পলিনেশন ঘটিয়ে তিনি এক নতুন প্রজাতির পেঁপে তৈরি করেন, যা বাকি পেঁপের তুলনায় উচ্চ ফলনশীল। একাধিক স্বীকৃতি এবং চাষের কাজে মুনাফা পেয়েছেন নতুন জাতের পেঁপে চাষের মাধ্যমে।


