দেশে ক্রমবর্ধমান চাহিদা মেটাতে ৭০ হাজার মেট্রিক টন সার কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করেছে। এ ছাড়া কার্গো এলএনজি ও ২৫ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত চিনি কেনার প্রস্তাবের অনুমোদনও দেওয়া হয়েছে।
আজ বুধবার বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদের ৩০তম সভায় এ প্রস্তাব অনুমোদন দেওয়া হয়। অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, কৃষি মন্ত্রণালয় ও শিল্প মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো দুটি পৃথক প্রস্তাব অনুযায়ী, বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশন (বিএডিসি) অষ্টম লটের আওতায় সৌদি আরবের মা’আদেন-এর কাছ থেকে ৪০ হাজার মেট্রিক টন ডিএপি সার কিনবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৩৮৩.৬২ কোটি টাকা। আর প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৭৮১ মার্কিন ডলার।
ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ করপোরেশন (বিসিআইসি) প্রথম লটের আওতায় বাংলাদেশের কাফকো থেকে ৩০ হাজার মেট্রিক টন ব্যাগজাত দানাদার ইউরিয়া সার কিনবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১৬৪.৯১ কোটি টাকা। প্রতি টন ইউরিয়া সারের দাম পড়বে ৪৪৮.৩৭ মার্কিন ডলার।
এ সময় তিনি বলেন, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ থেকে পাঠানো এক প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে সরকার আন্তর্জাতিক কোটেশন পদ্ধতিতে স্পট মার্কেট থেকে সিঙ্গাপুরভিত্তিক এম/এস আরামকো ট্রেডিং সিঙ্গাপুর প্রাইভেট লিমিটেড-এর কাছ থেকে এক কার্গো এলএনজি কিনবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ৫১৭.১৯ কোটি টাকা এবং প্রতি এমএমবিটিইউ এলএনজির দাম পড়বে ১২.২৮৯ মার্কিন ডলার।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, এ ছাড়া বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের একটি প্রস্তাবও বৈঠকে অনুমোদিত হয়, যার আওতায় সরকারি প্রতিষ্ঠান ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি) আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্র পদ্ধতিতে (ওপেন টেন্ডার মেথড-ওটিএম) ২৫ হাজার মেট্রিক টন পরিশোধিত চিনি কিনবে। এতে ব্যয় হবে প্রায় ১৭৫.৯৮ কোটি টাকা এবং প্রতি কেজি চিনির দাম পড়বে ১০৬.৬৬ টাকা।


