১৯৭২-২০২৫ সাল পর্যন্ত অর্থাৎ স্বাধীনতার পর কৃষিজমি কমেছে ১০.৪৮ লাখ হেক্টর। ইয়াং এগ্রিকালচার ক্যাডার অফিসার্স ফোরামোর (ইয়াকফ) উদ্যোগে ‘এগ্রিফ্রন্টিয়ার্স ২৫: ইমপাওয়ারিং ইয়ুথ অ্যান্ড টেকনোলজি ফর ফিউচার এগ্রিকালচাল’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে এ তথ্য জানানো হয়।
আজ শুক্রবার সকালে রাজধানীর ফার্মগেটের তুলা ভবনে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়। ইয়াকফের সভাপতি মো. এমাজউদ্দিন উদ্দিনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের (ডিএই) মহাপরিচালক মো. ছাইফুল আলম।
মো. ছাইফুল আলম বলেন, ‘আমাদের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। কেননা চেইন অব কমান্ড না মানলে কাজ করা সম্ভব না। তরুণদের উদ্ভাবন শক্তি আমাদের কৃষিখাতকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে।’
ডিএই’র প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের পরিচালক ড. মো. মুজিবুর রহমান বলেন, প্রত্যেকটি সেক্টরে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। আর কাজের ক্ষেত্রে চেইন অব কমান্ড মেনে চলতে হবে। যেখানে লোক দরকার নেই সেখানে উল্টো সংযুক্তি দিয়ে রাখা হয়েছে।
হর্টিকালচার উইংয়ের পরিচালক এস এম সোহারাব উদ্দীন বলেন, প্রশাসনে কোনো ভেদাভেদ থাকবে না। যেখানে দায়িত্ব দেওয়া হোক সেখানেই কাজ করতে হবে।
অপর এক আলোচক বলেন, সবখাতে সংস্কার কমিশন হলেও কৃষিখাতে সংস্কার কমিশন হয়নি। অনেক জেলায় অফিস নেই। এওইর সঙ্গে অনেক কৃষি অফিসার কাজ করতে চায় না।
ক্রপস উইংয়ের পরিচালক হযরত আলী বলেন, ‘দেশে খোরপোস চাকরি থেকে এখন বাণিজ্যিক কৃষিতে পরিণত হয়েছে। তবে আমাদের পদন্নোতি আরো বাড়াতে হবে।’
এমাজ উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের সকল ধরনের ধ্যান-জ্ঞান হলো ডিএই। আমরা নিজের সামর্থ্য দিয়ে কৃষিকে অগ্রসর করবো।’
ইয়াকফের সেক্রেটারি মাইনুদ্দীন সাদ বলেন, ‘আমরা ডিএইকে শক্তিশালী অবস্থানে নিতে চাই। তিনি জানান, ১৯৭২-২০২৫ সাল পর্যন্ত কৃষিজমি কমেছে ১০.৪৮ হেক্টর। ধানের উৎপাদন বেড়েছে ৩.৫ গুণ, ভুট্টা ২১ ও সরিষা ৪৩ শতাংশ। এ সময়ে উৎপাদনশীলতা ৩০ শতাংশ বেড়েছে। প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে ৫০ লাখ কৃষককে। উদ্যোক্তা তৈরি হয়েছে ১০ হাজার।’
তিনি বলেন, ক্ষমতাহীন দর্শকের ভূমিকা পালন করতে হয়। তাই মোবাইল কোর্ট পরিচালনার ক্ষমতা দিতে হবে। বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের জন্য কৃষি একাডেমি করতে হবে। ৩৪-৩৭ ব্যাচ ৫ বছরে প্রমোশন পেয়েছে। ৩৮তম ব্যাচের ৫ বছর চলে গেলেও প্রমোশন হয়নি।
পার্টনার প্রকল্পের পরিচালক আবুল কালাম বলেন, সারা দেশে বছরে ৪ কোটি টন চালের দরকার। বিশ্বে ১০০ দেশ চাল আমদানি করলেও রপ্তানি করে ৬-১০টি দেশ। ৫ বছরে ৭ হাজার কোটি টাকা ব্যয় করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অবসরপ্রাপ্ত বিসিএস (কৃষি) অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব আহমেদ আলী চৌধুরী ইকবাল, উদ্ভিদ সংগনিরোধের পরিচালক আব্দুর রহিম, উদ্ভিদ সঙ্গনিরোধ উইংয়ের পরিচালক মো. আব্দুর রহিম, প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপপরিচালক (প্রশাসন) মো. মুরাদুল হাসান, উদ্ভিদ সংরক্ষণ উইংয়ের উপপরিচালক (বালাইনাশক প্রশাসন) মো. নূরে আলম সিদ্দিকী এবং প্রশাসন ও অর্থ উইংয়ের উপপরিচালক (লিগ্যাল এন্ড সাপোর্ট) মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তরারা বলেন, তাদের ৩৮ ব্যাচের ২২০ জন সদস্য এর ৪ বছর পূর্ণ হয়েছে। সবাই সিনিয়র স্কেল পরীক্ষা দিয়েছে, কিন্তু পদ ফাঁকা আছে মাত্র ১০০ এর মতো। এ অবস্থায় পদ সৃষ্টি ছাড়া কোনো পথ নেই।
তারা বলেন, তাদের পরবর্তী ৪০, ৪১, ৪৩ ব্যাচের প্রায় ৬০০ কর্মকর্তা আছে যাদের নবম গ্রেডে প্রায় ১০ বছর থাকতে হবে। প্রমোশন সময় মতো না হলে সবার মনোবল ভেঙে যাবে। তাদের মূল উদ্দেশ্য রিভিজিট অর্থাৎ ওপরের দিকে যৌক্তিক পদ বাড়ানো। আর এন ক্যাডারমেন্ট না দেওয়া। মানে নো বিসিএস, নো ক্যাডার।


