বাসমতি চাল আমদানিতে ধাক্কা খেয়েছে ভারত। দেশটি থেকে এ চাল আমদানিতে শীর্ষে ছিল ইরানের নাম। বর্তমানে তারা ভারত থেকে এ চাল কেনা কমিয়ে দিয়েছে। এর ফলে বাসমতি চাল রপ্তানিতে ধাক্কা খেয়েছে দেশটি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এবিপি আনন্দের খবরে বলা হয়, ভারতের জম্মু ও কাশ্মীর, হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, দিল্লি, উত্তরাখণ্ড ও পশ্চিম উত্তরপ্রদেশে বাসমতি চালের চাষ বেশি হয়। এসব রাজ্যে উৎপাদিত এ চাল দেশের চাহিদা পূরণ করে বিদেশেও রপ্তানি করা হয়। বিশ্বের বাজারে সবচেয়ে বেশি চাল রপ্তানি করে ভারত। এই চাল কেনায় যেসব দেশ রয়েছে, তার মধ্যে শীর্ষ স্থানে রয়েছে ইরানের নাম। তবে ২০২১ সাল থেকেই ভারত থেকে চালটি রপ্তানি ২০ শতাংশ কমে দাঁড়িয়েছে ৪০ লাখ টনে। যা ২০১৭ সালের পর সবথেকে কম। সরকারি নথি থেকে এমনই জানা গেছে।
ওই নথি অনুযায়ী, ইরানে ভারতের বাসমতি চালের রপ্তানি গত বছর থেকে কমেছে ২৬ শতাংশ। যা দাঁড়িয়েছে ৮৩৪, ৪৫৮ টনে।
বিশ্বের বাজারের সঙ্গে যুক্ত মুম্বাইয়ের এক ব্যবসায়ী জানান, গত বছরে ভারতীয় ব্যাংকগুলোর কাছে রুপির মজুদ কমে যাওয়ার পর ইরান কয়েক মাস ধরে বাজারে সক্রিয় ছিল না।
ইরানের সঙ্গে রুপির বিনিময়ে ভারতের কাছে তেল বিক্রির চুক্তি হয়েছিল, যার মাধ্যমে তারা কৃষিপণ্যসহ গুরুত্বপূর্ণ পণ্য আমদানি করত। তবে ২০১৯ সালের মে মাসে তেহরানের তেল কেনা বন্ধ করে দেয় নয়াদিল্লি। তেহরান তার রুপি ব্যবহার করে ভারতের কাছ থেকে পণ্য কিনতে থাকে, কিন্তু অপরিশোধিত তেল বিক্রি ছাড়াই। যা ইরানের রুপির মজুদ কমিয়ে আনে।
এদিকে, ২০২১ সালের মাঝামাঝি সময়ে রপ্তানিতে মন্দা দেখা দিলেও, গত দুই-তিন মাসে ইরান, সৌদি আরব ও অন্যান্য প্রধান ক্রেতাদের কাছ থেকে কেনা বেচা বেড়েছে বলে জানিয়েছেন অল ইন্ডিয়া রাইস এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (এআইআরইএ) সাবেক সভাপতি বিজয় সেটিয়া। খুব দ্রুত ইরানে বাসমতি চালও রপ্তানি বাড়বে বলে আশা তাদের।


