খাগড়াছড়ির মাটিরাঙ্গা উপজেলায় মাচায় পটল আবাদ করে সফল হয়েছেন নারী কৃষি উদ্যোক্তা রিনা আক্তার। তাকে দেখে উপজেলার অনেকেই এখন মাচা তৈরি করে পটল চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।
জানা যায়, চলতি মৌসুমে মাটিরাঙ্গা উপজেলার নতুন পাড়া এলাকায় বেসরকারি সংস্থা আইডিএফ-এর সহযোগিতায় ৩০ শতাংশ জমিতে মাচা তৈরি করে বারি পটল-১ জাতের উচ্চ ফলশীল পটল চাষ করেন রিনা আক্তার। নিয়মিত পরিচর্যায় প্রথম বছরেই সফল হয়েছেন তিনি।
রিনা আক্তার বলেন, ফলন বেশ ভালো এসেছে। ইতোমধ্যেই পটল বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রতি কেজি পটল ৪০ টাকা থেকে ৫০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এরই মধ্যে ৪০ হাজার থেকে ৫০ হাজার টাকার পটল বিক্রি হয়েছে।সামনে আরও আয়ের আশা করছেন তিনি।
রিনার তার এই সাফল্য দেখে অনেক কৃষকই পটল চাষে আগ্রহী হয়ে উঠেছেন।
আইডিএফ-এর কৃষি কর্মকর্তা আজমারুল হক বলেন, পল্লী কর্ম-সহায়ক ফাউন্ডেশনের (পিকেএসএফ) সমন্বিত কৃষি খাতের অর্থায়নে ও ইন্টিগ্রেটেড ডেভেলপমেন্ট ফাউন্ডেশন (আইডিএফ)-এর কৃষি উন্নয়ন বিভাগের বাস্তবায়নে মাটিরাঙ্গায় পরীক্ষামূলকভাবে ৩০ শতাংশ জমিতে মাচা পদ্ধতিতে পটল চাষের প্রদর্শনী দেওয়া হয়েছিল। ফলনও খুবই ভালো এসেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা কৃষককে সার, বীজ, বালাইনাশক ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি। ভবিষ্যতে কৃষি বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে পটলের বাণিজ্যিক চাষাবাদের বিকাশ হবে।’
মাটিরাঙ্গা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. সবুজ আলী বলেন, পটল লতানো প্রকৃতির উদ্ভিদ, তাই বাঁশের আনুভূমিক মাচা ও রশি দিয়ে তৈরি উলম্ব মাচায় পটল চাষ লাভজনক হয়ে থাকে। পটল একটি চাহিদাসম্পন্ন ও উচ্চ ফলনশীল সবজি। এখানকার মাটি পটল চাষের জন্য খুবই উপযোগী। এই সবজি চাষ সম্প্রসারণ করা গেলে, কৃষি অর্থনীতিতে বিরাট পরিবর্তন আসবে বলে মনে করছেন তিনি।