প্রতিটি আমের ওজন ৪-৫ কেজি! বাড়িতেই এমন আম চাষ করে তাক লাগিয়েছেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার এক স্কুলশিক্ষক। বাড়িতে রীতিমতো আমের বাগান বানিয়েছেন। বছরে ২৫ রকমের আম উৎপাদিত হয় তার বাগানে। অবশ্য শুধু আম নয়, বাগানে রয়েছে হরেক রকমের ফলের গাছ।
বাড়িতে ফলের বাগান করেছেন হুগলির পাণ্ডুয়ার বেনেপাড়ার বাসিন্দা পার্থ দে। তিনি স্থানীয় ইলছোবা মণ্ডলাই হাই স্কুলের শিক্ষক। বাড়ির সামনের ফল-বাগানে হরেক রকমের আম চাষ করেন এ শিক্ষক। সেখানে এ বছর প্রথম ফলল ব্রুনাই কিং আম। যার ওজন সাড়ে তিন কেজি। পাকলে ওজন হবে চার-পাঁচ কেজি পর্যন্ত।
পার্থ দের বাগানে আম ছাড়াও ভিয়েতনামের লাল কাঁঠাল, আতা, সবেদা, জামরুল, কলা, লিচুর গাছ রয়েছে। লক্ষাধিক টাকার ফলের চারা কিনে নিজে হাতে তা রোপণ করেছেন তিনি। রয়েছে দেশি-বিদেশি ২৫ রকমের আম গাছ। গত পাঁচ বছর ধরে বাগানে চাষ হচ্ছে মিয়াজাকি, আমেরিকান কেন্ট, চ্যাং মাই, ইয়েলো আইভরি, বানানা ম্যাঙ্গোর মতো একাধিক প্রজাতির আম। আর এবারই প্রথম চাষ হয়েছে ব্রুনাই কিং।
শিক্ষক পার্থ দে নিজে আম খেতে ভালোবাসেন। ছয় হাজার টাকা দিয়ে কিনেছিলেন আমেরিকান কেন্টের চারা। সারা বছর ফল দেওয়া থাইল্যান্ডের একটি প্রজাতির আমগাছও রয়েছে তার বাগানে। ব্রুনাইয়ের চারা এসেছে রাজ্যের মেদিনীপুর থেকে। ইতোমধ্যে আমও ধরেছে।
পার্থ দে বলছেন, ‘গরম ক্রমশ বাড়ছে। পরিবেশ রক্ষায় বৃক্ষরোপণ করছি। তাতে ফল খাওয়াও হলো, আবার পরিবেশকে বাঁচানোও হলো। মানুষের উপকার হবে।’
পার্থ দের বাড়ির আমবাগান এখন পাণ্ডুয়ার দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠেছে।