রাজধানীর শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শেকৃবি) ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও সিন্ডিকেট সদস্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম। তিনি শেকৃবির উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের অধ্যাপক।
গতকাল বুধবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সহকারী সচিব নীলিমা আফরোজ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর মো. আবদুল হামিদ বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০১ এর ১৩ (১) ধারা মোতাবেক আগামী চার বছরের জন্য অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলামকে ১৮ নভেম্বর ২০২০ তারিখ হতে পরবর্তী ৪ বছরের জন্য নিয়োগ দিয়েছেন। যোগদানের দিন থেকে তার এ নিয়োগ কার্যকর হবে।
প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, নিয়মিত চাকরির বয়সপূর্তিতে মূল পদে প্রত্যাবর্তন করে অবসর গ্রহণের আনুষ্ঠানিকতা শেষে উক্ত মেয়াদের অবশিষ্ট অংশ পূর্ণ করবেন। ট্রেজারার পদে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতন-ভাতা পাবেন এবং বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে যে কোনও সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন।
অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম রংপুর জেলার কাউনিয়া উপজেলার এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহন করেন। তিনি স্কুল জীবন থেকে শ্রেণিতে প্রথম ছিলেন এবং শিক্ষা জীবনের সকল স্তরে প্রথম বিভাগ/শ্রেণি প্রাপ্ত হন। প্রতিটি স্তরে তিনি অনন্য মেধা ও প্রতিভার স্বাক্ষর রাখেন। তিনি বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। নরওয়েজিয়ান ইউনির্ভাসিটি অব লাইফ সাইন্স, নরওয়ে থেকে স্নাতকোত্তর, পিএইচডি এবং পোস্ট ডক্টরেট অজর্ন করেন।
অধ্যাপক ড. মো. নজরুল ইসলাম একজন কৃষি বিজ্ঞানী এবং গবেষক হিসেবে দেশে-বিদেশে পরিচিত। তার ৬০টির অধিক গবেষণামূলক প্রবন্ধ দেশি ও বিদেশি জার্নালে প্রকাশ হয়। ড. মো. নজরুল ইসলামে তত্ত্বাবধানে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী এম.এস ও ৮ জন পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করে স্ব স্ব কর্মক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
ড. মো. নজরুল ইসলাম বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের কার্যকরী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। শেকৃবি শিক্ষক সমিতির সাধারন সম্পাদকসহ বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করেন। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে নীল দলেরও সভাপতি ছিলেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে সিন্ডিকেটের সদস্য, পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিন, ইনস্টিটিউট অফ সীড টেকনোলজি পরিচালক, শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় রিসার্চ সিস্টেম (সাউরেস) এর পরিচালক, বহিরাঙ্গন কার্যক্রমের পরিচালক, পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক, বিভাগীয় চেয়ারম্যান, হল প্রভোস্টসহ বিভিন্ন দায়িত্বে কর্মরত ছিলেন।


