ঝিনাইদহের শৈলকুপায় পেঁয়াজের বীজের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। দোকানে দোকানে ঘুরেও মিলছে না কাঙ্খিত বীজের দেখা। এ নিয়ে চাষীদের মধ্যে চরম হতাশা দেখা গেছে। তারা ৫ থেকে ৬ মণ পেঁয়াজ বিক্রি করেও এক কেজি পেঁয়াজ বীজ কিনতে পারছেন না।
গতকাল শনিবার শৈলকুপা বাজারের বিভিন্ন বীজ ব্যবসায়ীদের দোকান ঘুরে দেখা গেছে প্রতিটা দোকানে দলবেধে বীজের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন চাষীরা। টাকা দিয়েও মিলছেনা পেঁয়াজ বীজ।হাইব্রিড জাতের এক কেজি পেঁয়াজ বীজ ১৫ হাজার, লালতীর কিং ১২ হাজার, লালতীর-বিশ ৭ হাজার টাকায় বিক্রি হতে দেখা যায়।
উপজেলার ধাওড়া গ্রামের চাষী বিমল সরকার জানান, শনিবার তিনি পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন ২২ শত টাকা মণ। এক কেজি পেঁয়াজ বীজের দাম ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। ৫ থেকে ৬ মণ পেঁয়াজ বিক্রি করে মিলছে না এক কেজি পেঁয়াজ বীজ। গতবার তিনি এ বীজ কিনেছিলেন এক হাজার টাকা কেজি। এবার এতো দামের পরও মিলছেনা বীজ।
মাঠপাড়া গ্রামের চাষী করিম জানান, ১৫ হাজার টাকাতেও মিলছেনা ১ কেজি পেঁয়াজের বীজ। শতকরা ৫০ জন চাষী আগাম বীজ রোপন করেছিল বীজতলায়। তাদের মধ্যে আবার অর্ধেক চাষীর বীজ নষ্ট হয়ে গেছে।
শৈলকুপা বাজারের দিশারী বীজ ভান্ডারের মালিক রাশেদুল হাসান জানান, পেঁয়াজ বীজের তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। তারা নিজেরাও পাইকারি দোকান থেকে পেঁয়াজ বীজ কিনতে পারছেন না চাষীদের চাহিদার বীজ। গত শুক্রবার তিনি এক কেজি লালতীর কিং ১১ হাজার টাকা বিক্রি করলেও গতকাল শনিবার তিনি আর কোথাও খুঁজে পাচ্ছেন না এ বীজ। ফলে চাষীরা হতাশ হয়ে ফিরে যাচ্ছে বলে তিনি জানান।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. আকরাম হোসেন জানান, শৈলকুপা দেশের অন্যতম পেঁয়াজ উৎপাদনকারী এলাকা। শৈলকুপায় এ বছর ৬ হাজার ৭ শত ৫০ হেক্টরের বেশি জমিতে পেঁয়াজ চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে। পেঁয়াজ বীজের সংকটের কথা তিনি শুনেছেন বলে জানান। করোনাকালীন সময়ে আমদানিকারকরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী বীজ আমদানী করতে না পারায় হয়তো এ সংকট হয়েছে বলে ধারণা তার।


