কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার প্রান্তিক কৃষকরা সাধারণত সারা বছরেই আগাম বেগুন ও অন্যান্য শাক-সবজির ওপর নির্ভরশীল। এ বছরও লাভের আশায় ফুলবাড়ীর কৃষকরা আগাম বেগুন চাষ করেছেন। যাদের নিজস্ব জমি নেই তারাও মানুষের জমি লিজ নিয়ে বিভিন্ন ধরণের শাক-সবজি জাষ করেছিলেন। তবে বেগুনে পঁচন ধরা ও গাছ মারা যাওয়ার সমস্যায় কৃষকরা পড়েছেন বিপাকে।
গতকাল সোমবার সকালে উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষাফেরুষা জাগিরটারী এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, কৃষক আইয়ুব আলী ৪০ থেকে ৫০ টাকা ধার-দেনা করে মানুষের জমি লিজ নিয়ে দেড় বিঘা জমিতে বেগুন চাষ করেছেন। এক বিঘা জমির বেগুনক্ষেতে ফল পচাঁ রোগ ও ঢলে পড়া রোগে গাছ পুরোপুরি মরে গেছে। শুধু আইয়ুব আলীরই নয়, ওই এলাকার মকবুল হোসেন, একরামুল হক, পঁচা মিয়া, সফিকুল ইসলাম, এরশাদুল হক, আমিনুল ইসলামসহ অনেক কৃষকের বেগুনক্ষেতেই দেখা গেছে এ সমস্যা। এ সব কৃষকরা ধার-দেনা ও ঋণ করে বেগুন চাষ করেছিলেন।বেগুনগাছ মরে যাওয়ায় তারা পড়েছেন দুঃশ্চিন্তায়।
কৃষক আইয়ুব আলী জানান, কৃষি অফিসের সহকারি কর্মকর্তাকে জানিয়েও কোনো পরামর্শ পাননি। বিভিন্ন কীটনাশক, বোরন ও ছত্রাকনাশক ব্যবহারও করেও পাননি আশানুরূপ ফল। ঋণের টাকা শোধ করা নিয়ে চিন্তায় আছেন বলেও জানান এ কৃষক।
ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশিদ জানান, কোনো কৃষক এ বিষয়ে অবগত করেনি। কৃষকদের বেগুন চাষসহ নানা ফসল চাষ বিষয়ক প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। খরিপ-২ ও চলতি শীত মৌসুমে উপজেলায় ১১০ হেক্টর জমিতে বেগুন চাষ হয়েছে।


