নিম্নচাপের প্রভাবে গত তিন দিনের একটানা ভারি বর্ষণের কারণে বরগুনার আমতলী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ৭০৬টি পুকুর ও মাছের ঘের প্লাবিত হয়ে বিভিন্ন প্রজাতির ৪০ লাখ ৫০ হাজার টাকার মাছ ভেসে গেছে। চরম ক্ষতির মুখে পড়েছেন মাছচাষিরা।
আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার গুলিশাখালী, আঠারোগাছিয়া, কুকুয়া, হলদিয়া, চাওড়া, আমতলী সদর, আড়পাঙ্গাশিয়া ইউনিয়ন ও আমতলী পৌরসভার ১১,৯৫৬ টি পুকুর ও মাছের ঘের রয়েছে। গত মঙ্গলবার রাত থেকে শুরু হওয়া তিন দিনের একটানা ভারি বর্ষণের কারনে উপজেলার ৬৫০টি পুকুর ও ৫৬টি মাছের ঘের পানিতে প্লাবিত হয়ে বিভিন্ন প্রজাতির বড় ছোট মাছ, চিড়িং মাছ ও পোনা মাছ ভেসে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য ৪০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা।
উপজেলার গুলিশাখালী গ্রামের মাছচাষি মো. রাকিব জানান, সাগরে নিম্নচাপ ও অতি বর্ষণে তার মাছের ঘের পানিতে তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
আমতলী সদর ইউনিয়নের ছুড়িকাটা গ্রামের মৎস্যচাষী গাজী মো. আবুল হোসেন জানান, বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাওয়া তার ৩/৪ টি মাছের ঘের রক্ষার চারদিকে নেটজাল দিয়ে শেষ চেষ্টা করেও তিনি ব্যর্থ হয়েছেন। এতে তার অন্তত তিন লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়েছে।
একই ইউনিয়নের ফকিরবাড়ী এলাকার গলদা চিড়িং চাষী জিয়াদ জানান, তিন দিনে একটানা যে পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে এ বছর বর্ষা মৌসুমেও তা হয়নি। বৃষ্টির পানিতে তার মাছের ঘেরে থাকা ৫ লক্ষাধিক টাকার চিংড়ি মাছ ভেসে গেছে।
এ বিষয়ে আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মো. মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সাগরে নিম্নচাপ ও তিন দিনের একটানা ভারি বর্ষণে উপজেলার ৭টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার ৭০৬টি মাছের ঘের পানিতে প্লাবিত হয়েছে। এতে চাষীদের ৪০ লক্ষ ৫০ হাজার টাকার মাছ ভেসে গেছে।


