কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে দ্বিতীয় দফা বন্যা কাঁটিয়ে উঠতে না উঠতেই বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাসে শত শত হেক্টর জমির আমন ধান হেলে পড়াসহ বিভিন্ন ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে চরম বিপাকে পড়েছেন আমন চাষিরা।
গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া হালকা-বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাসে ঘরবাড়ি গাছপালার ক্ষয়ক্ষতি না হলেও উপজেলার নাওডাঙ্গা ,শিমুলবাড়ী, ফুলবাড়ী সদর,কাশিপুর, ভাঙ্গামোড় ও বড়ভিটা ইউনিয়নের শত শত হেক্টর জমির আমন ধান মাটিতে হেলে পড়েছে। সব চেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের কুরুষা ফেরুষা, পূর্বফুলমতি, নাওডাঙ্গা, পশ্চিমফুলমতি ও গজেরকুটিসহ নয়টি গ্রামে।
রোববার দুপুরে নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, শত শত আমন খেতে বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাসে হেলে পড়া ধানের শীষ পঁচে নষ্ট হওয়ায় আশংকা করছেন কৃষকরা। এ ছাড়া দমকা বাতাসে বেগুন, মুলা, ফুলকপি, বাঁধাকপি, মরিচ, লালশাকসহ অন্যান্য শাক-সবজির পাতা ছিঁড়ে যাওয়া, হেলে পড়াসহ ব্যাপক ক্ষতি সাধিত হয়েছে।
উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের পশ্চিমফুলমতি গ্রামের কৃষক মমিনুল ইসলাম (৪৫), হালাল উদ্দিন (৪২), সায়েদ আলী (৪০) ও জহুরুল ইসলাম জানান, তাদের প্রত্যেকের দেড় থেকে দুই বিঘা করে আমন ক্ষেত বাতাসে হেলে পড়ে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ফসলের ক্ষতি হওয়ায় তারা দুঃশ্চিন্তায় রয়েছেন। আর কয়েকদিন পরেই ধান পাঁকত বলেও জানান তারা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ফুলবাড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মাহবুবুর রশিদ বলেন, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার ৭২০ হেক্টর জমিতে আমন ধান আবাদ হয়েছে। গত চারদিনের বৃষ্টিপাত ও দমকা বাতাসে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ২৩০ হেক্টর আমন ধান মাটিতে হেলে পড়েছে।
এ কৃষি কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘আমরা মাঠ পর্যায়ে গিয়ে কৃষকদের হেলে পড়া ধান গাছগুলো পরিদর্শন করছি। সেই সঙ্গে হেলে পড়া ধান গাছগুলো ছোট ছোট করে আঁটি বেঁধে তুলে দেওয়ার পরামর্শ দিচ্ছি। ধান গাছ গুলো তুলে দিলে কিছুটা রক্ষা পাবে কৃষক। ’


